AMAR BANGLA NEWS

রাজভবনে অস্ত্রের অভিযোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া, তদন্তের দাবি – অভিযোগকারী সাংসদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনারও ইঙ্গিত

রাজভবনে অস্ত্রের অভিযোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া, তদন্তের দাবি – অভিযোগকারী সাংসদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনারও ইঙ্গিত কলকাতা: রাজভবনে নাকি অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত...

রাজভবনে অস্ত্রের অভিযোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া, তদন্তের দাবি – অভিযোগকারী সাংসদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনারও ইঙ্গিত

কলকাতা: রাজভবনে নাকি অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত রয়েছে—এমন মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই মন্তব্যের পরই কড়া ভাষায় বিবৃতি জারি করল রাজভবন।

রাজভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “সাংসদ, নাগরিক সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকরা—সর্বোচ্চ ১০০ জন—তাৎক্ষণিকভাবে রাজভবন পরিদর্শনে আসতে পারেন। দেখে যাচাই করে নিন, অভিযোগ অনুযায়ী কোনও অস্ত্র বা গোলাবারুদ এখানে মজুত আছে কি না। যদি অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে সাংসদের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং ঘৃণাভাষণের জন্য আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়া উচিত।”

একই সঙ্গে রাজভবন প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজভবন যেহেতু কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তার আওতায়, সেক্ষেত্রে কীভাবে অভিযোগ অনুযায়ী অস্ত্র রাজভবনে ঢুকতে পারল, তা নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত হওয়া উচিত। এ ধরনের ঘটনা রাজ্যের রাজ্যপাল—যিনি জেড প্লাস নিরাপত্তাভুক্ত—এবং রাজভবন কর্মীদের জন্য বড়সড় হুমকি বলেও দাবি করা হয়েছে।

রাজ্যপালের নিরাপত্তা আধিকারিকরা তাঁকে সাময়িকভাবে রাজভবন ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে রাজ্যপাল স্পষ্ট জানিয়ে দেন—“আমি রাজভবনেই থাকব, যাই হোক না কেন।”

রাজভবন আরও জানিয়েছে, লোকসভার স্পিকারকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে এবং সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর অভিযোগের তদন্ত করার অনুরোধ জানানো হবে।

ঘিরে ধরেছে রাজনৈতিক উত্তেজনা—কলকাতার রাজভবনকে কেন্দ্র করে এই অভূতপূর্ব অভিযোগ-প্রতিবাদের পর এখন নজর তদন্তের দিকে।