রোগী সেজে এক কোয়াক ডাক্তারের বাড়িতে হামলা দুষ্কৃতীদের। পিস্তল দেখিয়ে হুমকি। সিসিটিভি ফুটেজ সামনে। তবুও ঘটনার দু’মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা অধরা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই কোয়াক ডাক্তারের পরিবার। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও পুলিশ এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি দুষ্কৃতীদের৷ তাই পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
*রতুয়া থানার চাঁদমনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিকলপুর গ্রামের বাসিন্দা তারিক আনোয়ার। পেশায় কোয়াক ডাক্তার। গত ১৬ অগাস্ট রাত ১০টা নাগাদ রোগী সেজে চার দুষ্কৃতী তাঁর ক্লিনিকে প্রবেশ করে। একসময় তারা অতর্কিতে তাঁর উপর হামলা চালায়। চিৎকার চেঁচামেচিতে পাশের ঘর থেকে ছুটে আসেন তারিকের স্ত্রী মুসলেমা খাতুন। চারজনের মধ্যে এক দুষ্কৃতীকে ধরেও ফেলেন তারিক। তবে দুষ্কৃতীরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিলে তিনি তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। পুরো ঘটনাই তাঁর বাড়িতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় সামসী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সামসী ফাঁড়ির পুলিশ। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সিসিটিভির হার্ডডিস্ক। কিন্তু দু’মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযোগ, সামসী ফাঁড়ির পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে তারিক আনোয়ার জেলা পুলিশ সুপার, চাঁচল এসডিপিও এবং রতুয়া থানার আইসিকে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যে কোনও সময় ফের তাঁদের উপর হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
*তারিক বলেন, ‘আমার প্রতিবেশী জিয়াউলের গোরু-ছাগল আমার জমির ফসল খেয়ে নিয়েছিল। বিষয়টি জিয়াউলের বাড়িতে জানাতে গেলে তার পরিবারের লোকজন আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। ঘটনার কয়েকদিন পর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একদল দুষ্কৃতী রোগী সেজে আমার বাড়িতে এসে আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাদ যায়নি আমার স্ত্রীও। আমাকে বাঁচাতে এসে দুষ্কৃতীদের হাতে সে’ও আক্রান্ত হয়। বিষয়টি সামসী ফাঁড়িতে জানানোর পর পুলিশ এসে সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। আমার ধারণা, এই ঘটনার পিছনে জিয়াউল জড়িয়ে রয়েছে। আমরা গোটা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ঘটনার দু’মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এনিয়ে সামসী ফাঁড়িতে জানতে চাওয়া হলে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার আমাদের উলটে হুমকি দিচ্ছেন। বিষয়টি আমি জেলা পুলিশ সুপার, চাঁচল এসডিপিও এবং রতুয়া থানার আইসিকে জানিয়েছি। পুলিশ যদি নিরাপত্তা না দেয় তাহলে আমরা কোথায় যাব?
*বিষয়টি নিয়ে জিয়াউলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে ওদের সঙ্গে ছাগল নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। তবে ওর বাড়িতে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে আমার জানা নেই। আমি বছরের বেশিরভাগ সময় বাইরে কাজ করি। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই যুক্ত নযই। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখুন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
পুলিশ জানাচ্ছে ঘটনার তদন্ত চলছে।
রোগী সেজে এক কোয়াক ডাক্তারের বাড়িতে হামলা দুষ্কৃতীদের
রোগী সেজে এক কোয়াক ডাক্তারের বাড়িতে হামলা দুষ্কৃতীদের। পিস্তল দেখিয়ে হুমকি। সিসিটিভি ফুটেজ সামনে। তবুও ঘটনার দু’মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও...